করোনা নিয়ন্ত্রনে পাবলিক পরীক্ষা বন্ধ রাখাসহ ১২ সুপারিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
সারাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এইচএসসি, এসএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখাসহ ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যা বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র এবং অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
তিনি জানান, বিষয়গুলো নিয়ে একটি সভা হয়েছে।
যা মন্ত্রণালয়ে ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাজ করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে অধিদপ্তরের মিনি কনফারেন্স রুমে ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয়’ সম্পর্কে একটি সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানানো হয়েছে।
সুপারিশ গুলো হলো:
১) সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যালান্স রেখে যেকোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।
২) কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিংমল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।
৩) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।
৪) যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এইচএসসি, এসএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে।
৫) কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।
৬) যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা।
৭) বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।
৮) আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।
৯) স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।
১০) পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।
১১) সব ধরনের সভা ভার্চ্যুয়াল করা।
১২) পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।