করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৩৯ জনের | বাংলাদেশে গত ৩ মাসে সর্বোচ্চ
করোনা আপডেটঃ মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ মাসের মাঝে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৮৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৬৭৪ জন ব্যক্তির শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানা যায়। যার ফলে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮০৬ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাতে জানা যায়, এইদিন ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু এবং ৩ হাজার ৭৩৭ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকা সিটিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও নিজঘরে কিংবা বাসায় উপসর্গ বিহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭১ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯২২ জন। পুরোদেশ জুড়ে সরকারি-বেসরকারি তত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় ২২৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এরই মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০টি, জিন-এক্সপার্ট ৩১টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩টি। এসকল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৭২৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৪টি।
এতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪.৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.৯৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় করোনা রোগী সুস্থতার হার ৯০.২২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, পনের জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন ব্যক্তি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন ব্যক্তি। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ২ জন করে ৪ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া সিলেট ও রংপুর বিভাগে ১ জন করে ২ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৯ জন রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে এসেছেন ১৯৩ জন রোগী ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৪ জন রোগী। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন আক্রান্ত রোগী এক লাখ তিন হাজার ৪৬২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৭৪৪ জন সুস্থ রোগী। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭১৮ জন রোগী।