এশিয়ার সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশে!
বাংলাদেশে বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে আসছে জাপান, যে অর্থের পুরোটাই ব্যবহৃত হবে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে।
এ তথ্য দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেছেন, জাপানের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ফল হিসেবেই এ বিনিয়োগ আসতে যাচ্ছে। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার হিসেবে এখানকার রপ্তানি বৃদ্ধিতে প্রচুর সুযোগ রয়েছে বলে জানান তারা।
সভায় বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
এরপর পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এ গুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ জাপানের তৈরী গাড়ির বড় বাজার। বাংলাদেশে জাপান গাড়ি তৈরীর কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।
এসময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে, এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ ।
সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এজন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে।
জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০০ অর্থ বছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই ভাবে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
রুউ/স্টাফ রিপোর্টার/বিবিএন