ইউএনও এর উপর হামলার কারণ চুরি নয়, বরং পূর্ব শত্রুতা
রংপুরঃ ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা চুরি নয় পূর্ব শত্রুতার জেরে। আর এর পেছনে রয়েছে ৫০,০০০ টাকা চুরির দায়ে বরখাস্ত হওয়া সরকারি কর্মকর্তা ইউএনও বাসভবনের মালি রবিউল ইসলাম।
পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিকভাবে সে এই হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
২রা সেপ্টেম্বর ইউএনও এর সরকারি বাসভবনে ঢুকে, ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর উপর হাতুড়ি দিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপরে বাসভবনে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসাদুল নবিনুল ইসলাম ও সান্টুর সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় র্যাব। র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদে হামলার সাথে তারা তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব ওই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল, হামলার মূল পরিকল্পনাকারী নবিনুল, আসাদুল র্যাবকে জানিয়েছেন চুরির উদ্দেশ্যেই সেই হামলা চালানো হয়েছিল।
তবে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি জানিয়েছেন, চুরি নয় বরং পূর্ব শত্রুতার জেরে ওয়াহিদা খানম এর উপর এই হামলা। এরই মধ্যে জড়িত সন্দেহে ইউ এন ও এর বাস ভবনের মালি রবিউল গ্রেফতার হয়েছে। চুরির দায়ে ইতিমধ্যে ইউ এন ও এর বাস ভবনের মালি রবিউল বরখাস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডিআইজি। এরপর থেকে সে হামলার ছক কষেছিল বলে ধারণা পুলিশের।
ডিআইজি আরো জানায় তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে পুলিশ কিছু আলামত জব্দ করেছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের সাথে মিলিয়েও দেখেছেন। এছাড়া এটি একটি গভীর তদন্তাধীন বিষয় তাই তদন্তের পরে যা বেরিয়ে আসবে তা জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর রবিউলকে আদালতে তোলা হলে, আদালত ৬ দিনের রিমান্ড দেন। অপরদিকে রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আসাদুল ও ইউএনও অফিসের নৈশ প্রহরী পলাশকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও এর সরকারি বাসভবনে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলা চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা এরপর থেকে তিনি ভর্তি আছেন ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস্ হাসপাতলে। শনিবার ওয়াহিদা খানম এর মাথার সেলাই কাটানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শরীরের ডান পাশের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
ডব্লিও বি বি ও / বে অব বেঙ্গল নিউজ / ঢাকা