আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় আজ
বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা হবে আজ।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামানের আদালতে এ রায় দেয়ার কথা রয়েছে। রায় ঘিরে বরগুনার আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তুলেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
উক্ত মামলায় কারাবন্দী প্রাপ্তবয়ষ্ক ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বল্পসময়ের মধ্যে রায় পাঠ করা হবে।
আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা যথাক্রমে- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।
মামলার বিচারক ইতিমধ্যে আদালতে এসেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবীও হাজির হয়েছেন আদালতে। আদালত প্রাঙ্গণ, প্রবেশপথ ও আশপাশের এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। আদালতের ভেতরে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
এব্যাপারে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক আছে।
এদিকে উক্ত মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, নিহত রিফাতের স্ত্রী ও মামলার ৭ নম্বর আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি তার বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বুধবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছান। আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নির স্বজন্দের ও দেখা যায়।
আদালতে প্রবেশের পূর্বে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, কিছুক্ষণ পরেই রিফাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে। এ মামলায় মিন্নি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেকসুর খালাস পাবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এক আসামির সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর সব আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্নিষ্ট আইনজীবীরা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আদালতে উপস্থাপিত যুক্তি খণ্ডন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক এবং আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বর্তমানে তার আইনজীবীর জিম্মায় জামিনে রয়েছেন।
ওয়াইএইচ / বে অব বেঙ্গল নিউজ।