আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিতঃ ওবায়দুল কাদের
বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তারা একই ঢোল সকল মওসুমে বাজিয়ে যাচ্ছে,। আন্দোলন নির্বাচনে চরমভাবে ব্যর্থ বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। সরকার পদত্যাগ নয়,আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত। যেই কোন অপকর্ম রাজনৈতিক রং দিয়ে আড়াল করতে চায় না সরকার। বিএনপির আন্দোলন শুধু মুখে আর পত্রিকার পাতায় ও ফেসবুক স্ট্যাটাসে। বিএনপি দেশে বিদেশে যেখানেই সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করুক না কেন , সে সম্পর্কে সরকার সজাগ।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রতিক নারীর প্রতি অবমাননা এবং সহিংসতার বিষয়ে নোয়াখালীর ঘটনাসহ প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এসকল ঘৃন্য অপরাধীদের কোন দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না,দলীয় পরিচয় তাদের রক্ষার ঢাল হতে পারে না।
কোন আন্দোলনের আগেই সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, এসব অপরাধ ও ঘৃন্য অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট এবং কঠোর। এসকল ঘৃন্য অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া যাবে না, যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি জানান, একটি দল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে, বিএনপি এসব ঘটনাকে অন্যদিকে ঘোরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। যখনই কোন ইস্যু পায় তা খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অপপ্রয়াস চালায় বিএনপি। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে হত্যা,সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভয়ারণ্য তৈরি করেছিলো তা কি তারা ভুলে গেছে? জাতি তা জানতে চায়? বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, নারী নির্যাতন বিশ্ববিবেককে হতবাক করে দিয়েছিলো। ফাহিমা,মাহিমা,পূর্ণিমাসহ হাজারো নারী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিলো,কেউই বিচার পায়নি। বিচারের বাণী তখন নিভৃতে কেঁদেছে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সংখ্যালঘু নির্যাতন ৭১’এর পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল। বিএনপি আজ বড় বড় কথা বলে, – চট্টগ্রামে নিজ দলের নেতা জামাল উদ্দিনকে প্রথমে অপহরণ ও পরে হত্যা করে নিজ দলের লোকেরা, সেই হত্যার বিচার পর্যন্ত তারা করেনি। অপরাধী ও খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া,পূনর্বাসন করা,খুনীদের লালন-পালন এবং খুন, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
বেগম জিয়া অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ৯৮ জন মানুষকে হত্যার বিচারবন্ধে সংসদে ইনডেমনিটি বিল এনে বিচার বন্ধ করেছিলে। শেখ হাসিনা সরকার যে কোন অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখে; দুর্নীতি, অনিয়ম এবং যে কোন অপরাধের মূলোৎপাটনে সরকারের কোন পিছুটান নেই। প্রতিটি ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে,বিচার হচ্ছে, কোন অপরাধীই রক্ষা পাবে না।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেকে প্রকাশ করে না, এজন্য অনেক ঘটনাই আড়ালে থেকে যায়। এধরণের ঘৃণা অপরাধের বিষয় গোপন না রেখে অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের জন্য যেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সময়মত অবহিত করা হয়।
বে অব বেঙ্গল নিউজ/ Bay of Bengal news