অ্যান্ডারসনের হাতে ৬০০ উইকেটের ঝুড়ি
বৃষ্টি, আলোর স্বল্পতা না ইংল্যান্ডের ফিল্ডাররা? জেমস অ্যান্ডারসনকে নতুন ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় রেখেছিল কে বা কারা?
ইংলিশ ফিল্ডারদের ওপর দোষ চাপাতে পারেন অনেকে। সাউদাম্পটনে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অ্যান্ডারসনকে হতাশাই পুড়তে হয়েছে বেশি। পাকিস্তানের দুই ইনিংস মিলিয়ে তখন পর্যন্ত তাঁর বলে ব্যাটসম্যানদের ৪টি ‘জীবন’ উপহার দেন ইংলিশ ফিল্ডাররা। সেটিও মাত্র ৩৮ বলের মধ্যে। তখন অ্যান্ডারসনের মুখের কাষ্ঠহাসি দেখে অনেকেরই খারাপ লাগার কথা। এর সঙ্গে বৃষ্টি ও আলোর স্বল্পতা মিলিয়ে তাঁকে ‘৬০০’ দেখা থেকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে আজ শেষ দিন পর্যন্ত।
বৃষ্টি আজও বাগড়া দেওয়ায় খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর। জানাই ছিল এক প্রান্ত থেকে হাত ঘোরাবেন জিমি। আর ১ উইকেট পেলেই যে টেস্টে প্রথম পেসার হিসেবে তিনি দেখা যাবেন ৬০০ উইকেটের।
৫৯৯—এর অবদমিত ক্ষুধা নিয়ে কাল চতুর্থ দিনটা শেষ করতে হয়েছে তাঁকে। আজ অ্যান্ডারসন বোলিংয়ে আসা মাত্রই অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানের পাশে এক ফিল্ডার রাখেন অধিনায়ক জো রুট। অ্যান্ডারসন যে পাশ থেকে বোলিং করেছেন সে পাশেও ছিল। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, ইংল্যান্ডের ভাবনা তাঁর রেকর্ডটা যত দ্রুত হয়ে যায় ততই ভালো। নিজেদের ভুলে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। আবার বৃষ্টি নেমে দিনের খেলা পণ্ড হলে অ্যান্ডারসনের অপেক্ষার জ্বালা আরও বাড়বে।
কিন্তু বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। পঞ্চম দিনে নিজের তৃতীয় ওভার, সব মিলিয়ে ১৪তম বলে গিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬০০তম উইকেটের দেখা পেয়ে যান অ্যান্ডারসন। পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলীকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ইতিহাসটা নতুন করে লেখালেন ইংলিশ পেসার।
টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেটের দেখা পেলেন অ্যান্ডারসন। ম্যাচ খেলার হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছানো বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে নজিরটি গড়লেন তিনি। তবে অ্যান্ডারসন যেখানে অনন্য, টেস্ট ইতিহাসে তাঁর আগে আর কোনো পেসারই ৬০০ উইকেটের দেখা পাননি। ৩৮ বছর বয়সী এ পেসার যেন ওয়াইনের মতো—যত দিন যাচ্ছে আরও সুস্বাদু (ধারালো) হয়ে উঠছেন।
টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট:
• মুত্তিয়া মুরালিধরন—৮০০
• শেন ওয়ার্ন—৭০৮
• অনিল কুম্বলে—৬১৯
• জেমস অ্যান্ডারসন—৬০০*
• গ্লেন ম্যাকগ্রা—৫৬৩
রোকন উদ্দিন/বিবিএন/স্টাফ রিপোর্টার