অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে আটকা পড়ে ৩৮০টি পাইলট তিমির মৃত্যু…
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের পশ্চিম উপকূলে আটকা পড়া তিমির ৩৮০টিই মারা গেছে। তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে মোট ৪৭০টি পাইলট তিমিকে আটকা পড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ আটকা পড়ার রেকর্ড।
গত সোমবার, ম্যাককুয়েরি হেডস এলাকার সৈকতে প্রথম দফায় পাওয়া গিয়েছিল ২৭০ টি পাইলট তিমি। এর মধ্যে মারা যায় অন্তত ৯০ টি। সেখানে আরও বেশ কিছু তিমি মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। তিমি উদ্ধার অভিযান শুরুর পর আটকা পড়া নতুন আরও ২শ’ তিমির সন্ধান মেলে।
‘তাসমানিয়া পার্কস এন্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিস’ ম্যানেজার নিক ডেকা বুধবার নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় পাওয়া এই দুইশ’ তিমির সবগুলোই মারা গেছে। ‘আমাদের আরও একটু সময় লাগবে, উপকূলে কত সংখ্যক তিমি মারা গিয়েছে তা জানতে।তবে সব মিলিয়ে মোট মৃত তিমির সংখ্যা ৩৮০ তে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
উদ্ধারকারীরা বুধবার বিকাল নাগাদ ৫০ টি তিমি উদ্ধার করতে পেরেছেন এবং আরও ৩০ টিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। ৬০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল তিমি উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তারা জীবিত তিমিগুলোকে টেনে তুলে সাগরে ফেরত পাঠাচ্ছেন। ৫০ টি তিমিকে সাগরে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
এইদিকে ঠিক কী কারণে তিমিগুলো তীরে চলে এসেছে তা জানা যায়নি। সৈকতে চলে আসার ঘটনাটি তিমিদের এই প্রজাতির ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডে একসঙ্গে এত তিমি আটকা পড়ার এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে তাসমানিয়ায় তিমি আটকা পড়ার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৩৫ সালে। তখন উপকূলে ২৯৪টি পাইলট তিমি আটকা পড়েছিল। এরপর সেখানে ২০০৯ সালেও তিমি আটকা পড়ার ঘটনা ঘটেছিল, তখন প্রায় ২০০টি পাইলট তিমি আটকা পড়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় তিমি আটকা পড়ার ঘটনাগুলোর ৮০ শতাংশেরও বেশি তাসমানিয়ায় ঘটে।
তাসমানিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন,জীবিত থাকা তিমিগুলোকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন অস্ট্রেলিয়ার উদ্ধারকর্মীরা। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি তিমিও জীবিত থাকবে ততক্ষণ উদ্ধার অভিযান চলবে।
এসি/বিবিএন/স্টাফ রিপোর্টার।