অস্ট্রেলিয়াকেও ডোবাল ইংল্যান্ড
সাউদাম্পটনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে স্কোরবোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই আর্চারের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার।
পরের ওভারেই আউট হন অ্যালেক্স ক্যারি। তার সংগ্রহ ২ রান। এদিন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি স্টিভেন স্মিথও। মাত্র ১০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন তিনি। দলের স্কোর তখন ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০।
বিপর্যয় কাটিয়ে দলের স্কোরবোর্ডকে একটু ভদ্রস্থ করার চেষ্টা চালান অধিনায়ক ফিঞ্চ। তাকে সঙ্গ দেন অলরাউন্ডার স্টয়নিস। দু’জনে মিলে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ৩৩ বলে ৪০ রান করে আউট হন ফিঞ্চ।স্টয়নিসের ৩৫, ম্যাক্সওয়েলের ২৬ ও আগারের ২৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
জবাব দিতে নেমে খুব একটা ভালো সূচনা পায়নি ইংলিশরাও। দলীয় ১৯ রানে ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে হারায় তারা। তবে ২য় উইকেটে অজি বোলারদেরকে হতাশ করেন ডাওয়িড মালান ও জস বাটলার। দু’জনে মিলে গড়েন ৮৭ রানের জুটি।
৪২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মালান।ব্যান্টন ও মরগ্যান ফেরেন দ্রুতই। তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ২ ও ৭ রান। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার বাটলার। ৫৪ বলে তার অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে, ৭ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ইংলিশরা।
১ম ম্যাচে ২ রানের জয় পেয়েছিল স্বাগতিকরা। ফলে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজটাও পকেটে পুরলো মরগ্যান বাহিনী।
করোনা পরবর্তী সব সিরিজই নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর নিজেদের মাটিতে একে একে সিরিজ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। এবার তাদের শিকার অস্ট্রেলিয়াও। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ২য় ম্যাচে অজিদেরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে, ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল ইংলিশরা।
স্টফ রিপোর্টার/বে অব বেঙ্গল নিউজ